নোয়াখালীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- বেগমগঞ্জের হাজীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাহা উদ্দিন স্বপনের ছেলে মোবারক হোসেন শাওন ও সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া ইউনিয়নের নয়া রাজারামপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন।
রোববার সকালে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মোবারক হোসেন শাওন চৌমুহনী বাজারের তাহেরা ট্রেডার্সে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতেন। ৩-৪ মাস আগে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুল মতিন তার পালক মেয়ের সঙ্গে ‘জোর করে’ শাওনের বিয়ে দেন।
এ নিয়ে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় ‘বিষ জাতীয়’ কিছু খেয়ে মাটিতে লুটে পড়েন শাওন। পরে দোকানের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক তাকে ঘোষণা করেন।
এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় শাওনের লাশ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন শশুর আবদুল মতিন।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, শাওনকে তার শশুর পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় শাওনের মা সামছুন নাহার বাদী হয়ে আবদুল মতিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে শনিবার রাতে সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া ইউনিয়নের নয়া রাজারামপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওমান প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন আনোয়ার। আগামী ২০ মার্চ তার ভাইয়ের দেশে ফেরার কথা শুনে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। পরে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন আনোয়ার।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।